প্রাণখুলে হাসলে খুব তাড়াতাড়িই সামনের মানুষের সঙ্গে সখ্যতা তৈরি হয়ে যায়। কিন্তু অনেকেই আছেন, যারা দাঁতে থাকা হলুদ ছোপের কারণে লজ্জা পান। কখনও বন্ধু বা অফিস কলিগের কাছে এই নিয়ে কটাক্ষের মুখোমুখিও হতে হয়। আমাদের দৈনন্দিন কিছু খারাপ অভ্যাসে দাঁতের রং হলুদ হয়ে যায়।
এই পরিস্থিতিতে কী করণীয়-
দিনে দুইবার দাঁত মাজুন। যে কোনও টুথপেস্টই ব্যবহার করতে পারেন। তবে ভেষজ পেস্ট ব্যবহার করলেও চলবে। ৫-৭ মিনিট সময় নিয়ে দাঁত পরিষ্কার করুন। যতবার খাবার খাবেন কুলকুচি করে নেবেন। এতে দাঁতের ভিতরে জমে থাকা ময়লা সহজেই বেরিয়ে আসবে। মুখের স্বাস্থ্যে নজর দিলেই আর হলুদ দাঁতের সমস্যায় পড়তে হবে না। চিনি ছাড়া চুইংগাম বাজারে পাওয়া যায়। সেগুলো চেবালে সাধারণত দাঁতে হলুদ ছাপ পড়ে না। অ্যাসিডিক খাবার, বিশেষ করে যাদের পিএইচ ৫.৫-এর নীচে, সেই খাবার এড়িয়ে চলুন। এগুলো দাঁতের এনামেল নষ্ট করে দেয়। খেলেও পরিষ্কার পানি দিয়ে কুলকুচি করে নেবেন। বিশেষ করে অ্যাপেল সিডার ভিনেগার যারা খান নিয়মিত বা লেবুর পানি। চেষ্টা করবেন স্ট্র দিয়ে তা পান করতে।
কী কী ব্যবহার করা যেতে পারে
তিলের বীজ- সপ্তাহে তিন বার তিলের বীজের পেস্ট দিয়ে দাঁত মাজুন। তিলের মধ্যে ক্যালসিয়াম রয়েছে যা মাড়িকে শক্তিশালী ও দাঁতকে মজবুত করে তোলে। এছাড়াও এটি দাঁতের হলুদভাব দূর করে। নিম গাছের ছাল- আমরা সবাই জানি যে নিমের মধ্যে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যে রয়েছে। নিম গাছের ছাল বা ডাল দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করলে দাঁতের সব সমস্যাই দূর হয়ে যাবে। সপ্তাহে তিনবার আপনি এই প্রতিকারটি ব্যবহার করতে পারেন। পুদিনা ও তুলসি পাতা- নিয়মিত পুদিনা ও তুলসি পাতা বেটে তা দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করতে পারেন। এতে মুখের মধ্যে থাকার জীবাণু দূর হয়ে যায়। মুখের দুর্গন্ধও দূর হয়ে যাবে। লেবু ও বেকিং সোডা- সপ্তাহে দুবার বেকিং সোডা এবং লেবুর রস দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করুন, এটি মাড়ি তৈরিতে সহায়তা করে। বেকিং সোডা দাঁতের হলুদ ভাব দূর করে এবং লেবু মুখের দুর্গন্ধ দূর করে। যারা অতিরিক্ত পরিমাণে চা এবং কফি গ্রহণ করেন তাদের জন্য এই সংমিশ্রণটি খুব কার্যকর কাজ করে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।